শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৬

Post #0১৫ বেতাল ফিরেছেন চিত্রচোরে...শেষ বেতাল # ০১


বেতাল ফিরেছেন...


মহালয়া শুরু হতে আর মাত্র কিছু মিনিটের অপেক্ষা।সবাইকে আগাম মহালয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।

অ্যালেক্স রসের আঁকা লাস্ট ফ্যান্টমের #০১ প্রচ্ছদ
আমাদের কথামতো আমরা ফিরেছি,মহালয়ার ঠিক আগে দেবীপক্ষের সূচনার এই শুভমুহূর্তে বেতালকে সঙ্গে নিয়ে।

ইন্দ্রজাল কমিকসের অনুগামীরা,অবাক হলেন নাকি ?? হ্যাঁ আপনার আমার সবার পছন্দের বেতাল আবার ফিরেছেন চিত্রচোরের হাত ধরে। বাংলার পাঠককুলের কাছে ইন্দ্রজাল কমিকস মানে নস্টালজিয়া।আমি জেন ওয়াই এর কথা বলছি না।ইন্দ্রজাল কমিকস মানে অনেকের কাছে এখনো ব্যাপারটা রত্নপ্রাপ্তির কাছাকাছি।"যারা পরে এসেছেন," তাদের জানিয়ে রাখা ভালো যে এই ইন্দ্রজাল কমিকস হল ভারতের কমিকস দুনিয়ার এক স্বর্ণমুকুট। টাইমস্‌ অফ ইন্ডিয়ার থেকে প্রকাশিত ৬০ থেকে ৮০ র দশক কাঁপানো এক কমিকস সিরিজ বলতে পারেন, যেটা ইংরাজি ছাড়াও ৮টি আঞ্চলিক ভাষায় সারা ভারতে বানিজ্য বিস্তার করেছিল আর জায়গা করে নিয়েছিল সবার মনে।এই ইন্দ্রজালের কথা বললেই আগে আমাদের বেতালের কথা মনে পড়ে।ইন্দ্রজাল কমিকস শুরু হয়েছিল ১৯৬৪ সালের মার্চ মাসে আর তার আকস্মিক পীড়াদায়ক সমাপ্তি ঘটে ১৯৯০ এর মে মাসে।১৯৬৪ তে শুরু হলেও প্রথমে এগুলো ইংরাজি আর হিন্দিতে প্রকাশ হতো, ১৯৬৬র জানুয়ারী ২৩ নম্বর সংখ্যা "লাল জাদুকরীর রহস্য" থেকেই এর বাংলায় প্রথম বেতালের আত্মপ্রকাশ।সেই থেকে লি ফকের এই বিশ্বসেরা অমর সৃষ্টি "দ্য ফ্যান্টম" আমাদের বাঙালি পাঠককুলের কাছে "বেতাল" নামেই পরিচিত।তারপর আনন্দমেলায় শুরু হয় সে সময়ের আনন্দমেলার সম্পাদক কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ফ্যান্টমের নাম বদলে নতুন নাম দেন "অরন্যদেব"। সেই থেকে আজও কিং ফিচারস্‌ সিন্ডিকেটের ডেইলি স্ট্রিপ বাংলায় আনন্দবাজার পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ হচ্ছে। ইন্দ্রজাল বন্ধ হয়ে গেলে শুরু হয় ডায়মন্ড কমিকসের রাজত্ব।ডায়মন্ড কমিক্স চলে ২০০৫-২০০৭ পর্যন্ত।তারপরে এগমন্ট থেকে মাত্র ৪টি কমিক্সের অনুবাদ প্রকাশ হয়,সেটাও ফ্যান্টম নামেই।তারপর সম্তবত ২০১৩ সাল পর্যন্ত মাসিক আনন্দমেলা ছাড়া আর ফ্যান্টমের কোনও অনুবাদ প্রকাশ হয় নি।

লাস্ট ফ্যান্টমের #০১ প্রচ্ছদের বাংলা সংস্করণ
তাই আজ সেই অভাব পুরণ করতে আমরা নিয়ে এসেছি ডায়নামাইট এন্টারটেনমেন্টের ২০১০ -২০১২ সালে ১৩"দ্য লাস্ট ফ্যান্টমের" বঙ্গানুবাদ "শেষ বেতাল"। বেতাল নামকরণ করার কারন আমার ব্যাক্তিগত মতে অরন্যদেবের তুলনায় বেতাল নামটাই বরং বেশী রোমহর্ষক লাগে,তাছাড়া ইন্দ্রজাল কমিকস আমার অবসেশান বলতে পারেন (এটা পড়া ও সংগ্রহ করা আমার অন্যতম পছন্দের বিষয়), সেইজন্য সেই নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনতে ইন্দ্রজালের প্রতি শ্রদ্ধা অবিচল রেখে আমাদের দেবীপক্ষের এই শুভ মুহূর্তে চিত্রচোরের বিন্ম্র নিবেদনঃ শেষ বেতাল।

শেষ বেতালের গল্প লিখেছেন স্কট বেটী। ছবি এঁকেছেন এডুয়ারর্ডো ফেরিগাটো ও রঙে রাঙিয়েছেন ভিনিভিয়াস আন্দ্রাদে। আর প্রত্যেকটি ইস্যুর প্রচ্ছদ করেছেন বিশ্ববরেণ্য কমিকস শিল্পী অ্যালেক্স রস

এই সিরিজে মোট ১২ টি ইস্যু আছে।আর আছে একটি বার্ষিক ইস্যু।প্রতিটি ইস্যু একেকটি অধ্যায়ে বিভক্ত করা আছে। গল্পটা এতোটা চমকপ্রদ ও রোমহর্ষক যে চিত্রচোরের প্রথা ভঙ্গ করে একেকটি কমিক্সের ধারাবাহিক পর্বে ভাগ না করে অখন্ড একেকটি ইস্যু শেয়ার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আপনারা প্রতি পোস্টে একটা সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়তে পারবেন।

আজ পড়ুন শেষ বেতাল এর প্রথম পর্ব শুধু মাত্র চিত্রচোর ব্লগে-

বিদ্রঃ এটি একটি টিন কমিকস। অর্থাৎ,টিনেজারদের বা তার চেয়ে বেশী বয়সের পাঠকদের কথা মাথায় রেখে বানানো হয়েছে।এটি অ্যাডভেঞ্চার, ক্রাইম থ্রিলার গল্প।এতে কিছুক্ষেত্রে তীব্র নৃশংসতা দেখানো হয়েছে,ও কিছুক্ষেত্রে কিছু স্বল্পবসনা চরিত্রের ক্ষেত্রে অনেকের আপত্তি আসতে পারে ।তাই বাচ্চাদের অভিভাবকের উপস্থিতিতেই পড়ানো উচিত। আর অনুবাদ কেমন হচ্ছে জানাতে ভুলবেন না যেন।



ডাউনলোড করুন



আগামী পর্বে শেষ বেতাল এর দ্বিতীয় পর্ব পড়তে চোখ রাখুন শুধুমাত্র চিত্রচোর ব্লগে...





বাংলায় অনুবাদ ও প্রচ্ছদপট রূপায়নঃ রূপক ঘোষ।
প্রুফ রিডিংঃ মোঃ আশিকুর রহমান।



রবিবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৬

Post #0১৪ অ্যাসটেরিক্সের সেই হারানো পাণ্ডুলিপির গল্প #০৩



মিসিং স্ক্রোলের ইংরাজি সংস্করণের প্রচ্ছদ

আজ পড়ুন সম্পূর্ণ পর্ব।



মিসিং স্ক্রোলের বাংলা সংস্করণের প্রচ্ছদ
গত সপ্তাহে আপনারা পড়েছিলেন  অ্যাসটেরিক্স ও হারানো পাণ্ডুলিপির এর দ্বিতীয় পর্ব ।  এই নতুন অভিযানে নতুন টিমের হাতে ইউদেরজো দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন ও তিনি অবসর নিয়েছেন। এই নতুন অ্যালবামে গল্প লিখেছেন ইভ্যেস ফের্‌রী ও ছবি এঁকেছেন দিদিয়ার কনর‍্যাড। ২০১৩ সালে প্রকাশিত হয় তাদের লেখা প্রথম গল্প "অ্যাসটেরিক্স এন্ড দ্য পিক্টস" । এরপরে আরও একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয় এটা এখনো পর্যন্ত প্রকাশিত সর্বশেষ অ্যাসটেরিক্স কমিকস। অ্যাসটেরিক্স এন্ড দ্য মিসিং স্ক্রোল। এটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।এটি সর্বাধিক বিক্রীত অ্যাসটেরিক্স কমিকস ও বটে। এটির সব ভাষা মিলিয়ে সর্বমোট ৪ মিলিয়নের বেশী কপি মুদ্রন হয়েছে।


আসুন দেখে নেই নতুন লেখক দ্বয়ের তালিকা -

নতুন জুটির করা কমিক অ্যালবামের তালিকা।


গত দু-সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিক ভাবে পড়ার পড় আপনারা আজ পড়বেন অ্যাসটেরিক্স ও হারানো পাণ্ডুলিপি সম্পূর্ণ পর্ব।
অ্যাসটেরিক্স,অবেলিক্সের সঙ্গে ইউদেরজো আর
নতুন স্রষ্টাদ্বয়। 
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলীঃ-

নামঃ- অ্যাসটেরিক্স এন্ড দ্য মিসিং স্ক্রোল
লেখকঃ-ইভ্যেস ফের্‌রী
চিত্রশিল্পীঃ-দিদিয়ার কনর‍্যাড
প্রকাশকঃ-অরিওন বুকস্‌
প্রকাশকালঃ-২০১৫
টাইপঃ-কমিক অ্যালব্যাম



* সমস্ত তথ্যসূত্র উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত।


 আজ পড়ুন অ্যাসটেরিক্স ও হারানো পাণ্ডুলিপি এর সম্পূর্ণ পর্ব শুধু মাত্র চিত্রচোর ব্লগে। আগের দুটি পর্ব মিলিয়ে এই পর্বে পূর্ণাঙ্গ কমিক অ্যালবামটি একত্রে নিচের লিঙ্কে,এটি ডাউনলোড করলে আপনার আগের দুটি পর্ব ডাউনলোড না করলেও চলবে।আপনাদের সুবিধার জন্য হাই কোয়ালিটি ও মোবাইল সংস্করণ দুটোই শেয়ার করা হল ।  

বিদ্রঃ এই কমিক্স অ্যালবামটি সব বয়সের পাঠকদের পড়ার উপযোগী।তাই নির্দ্বিধায় পড়ুন ও পড়ান। আর অনুবাদ কেমন হচ্ছে জানাতে ভুলবেন না যেন।

 ডাউনলােড করুন(হাই কোয়ালিটি)

ডাউনলোড করুন (মোবাইল সংস্করণ)

এবার শারদীয়ার শুভারম্ভে শেষ বেতাল আসছে । পড়তে চোখ রাখুন এই ব্লগে । 




বাংলায় অনুবাদ ও প্রচ্ছদপট রূপায়নঃ রূপক ঘোষ।



রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৬

Post #0১৩ অ্যাসটেরিক্সের সেই হারানো পাণ্ডুলিপির গল্প #০২


মিসিং স্ক্রোলের বাংলা সংস্করণের প্রচ্ছদ
মিসিং স্ক্রোলের বাংলা সংস্করণের পৃষ্ঠ প্রচ্ছদ

তাদের কথামতো অ্যাসটেরিক্স ও ওবেলিক্স ফিরেছিল,গত সপ্তাহ তেই ।এখন সামনের সামনের সপ্তাহ পর্যন্ত ওনারা আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।
গত সপ্তাহে আপনারা পড়েছিলেন  অ্যাসটেরিক্স ও হারানো পাণ্ডুলিপির এর প্রথম পর্ব ।  অ্যাসটেরিক্সের এই ৩৬ তম অ্যালবামের গল্প লিখেছেন ইভ্যেস ফের্‌রী ও ছবি এঁকেছেন দিদিয়ার কনর‍্যাড



আজ পড়ুন অ্যাসটেরিক্স ও হারানো পাণ্ডুলিপির এর দ্বিতীয় পর্ব শুধু মাত্র চিত্রচোর ব্লগে-


বিদ্রঃ এই কমিক্স অ্যালবামটি সব বয়সের পাঠকদের পড়ার উপযোগী।তাই নির্দ্বিধায় পড়ুন ও পড়ান। আর অনুবাদ কেমন হচ্ছে জানাতে ভুলবেন না যেন।




আগামী সপ্তাহে অ্যাসটেরিক্স ও হারানো পাণ্ডুলিপির এর অন্তিম পর্ব পড়তে চোখ রাখুন শুধুমাত্র চিত্রচোর ব্লগে...




বাংলায় অনুবাদ ও প্রচ্ছদপট রূপায়নঃ রূপক ঘোষ।


শনিবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৬

Post #0১২ অ্যাসটেরিক্সের সেই হারানো পাণ্ডুলিপির গল্প #০১

মিসিং স্ক্রোলের ইংরাজি সংস্করণের প্রচ্ছদ
খুব ইচ্ছা ছিল গণেশ চতুর্থীর দিনে অ্যাসটেরিক্সের সর্বশেষ নতুন অভিযানের কাহিনী শুরু করার, কিন্তু কাজের প্রচন্ড চাপে সেটা করে ওঠা সম্ভব হয়নি।আজ নিজেই অ্যাসটেরিক্স আপনাদের তার নতুন অভিযানের এই গল্প শুরু করবে।আজকের গল্প অ্যাসটেরিক্স এন্ড দ্য মিসিং স্ক্রোল।বাংলায় নামকরণ করা হয়েছে অ্যাসটেরিক্স ও হারানো পাণ্ডুলিপি।

আগের বারের কথামতো অ্যাসটেরিক্স ও ওবেলিক্স ফিরেছে, তাই তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।এখন কয়েক সপ্তাহ ওনারা আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।চলুন তবে দেখে নেই এই অ্যালবাম এর কিছু টুকিটাকি।
মিসিং স্ক্রোলের বাংলা সংস্করণের প্রচ্ছদ
এতে গল্প লিখেছেন ইভ্যেস ফের্‌রী ও ছবি এঁকেছেন দিদিয়ার কনর‍্যাড। ২০১৩ সালে প্রকাশিত হয় তাদের লেখা এই প্রথম গল্প "অ্যাসটেরিক্স এন্ড দ্য পিক্টস" ।আগেরবার আমরা পড়েছিলাম সেই "অ্যাসটেরিক্স এন্ড দ্য পিক্টস" এর অনুবাদ "অ্যাসটেরিক্স ও পিক্ট দল"। ২০১৫ সালে অর্থাৎ আগের বছরেই প্রকাশিত হয় "অ্যাসটেরিক্স অ্যান্ড দ্য মিসিং স্ক্রোল"। এটি এই সিরিজের ৩৬ তম অ্যালবাম।এতেই আবার অনেকদিন পরে সিজারের দেখা পাওয়া যায়। গোসিনী আর ইউদেরজোর সময়ে এই সিরিজের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ছিল,তারপর গোসিনীর মৃত্যুর পরে পাঠকদের অনুরোধে ইউদেরজো একাই আঁকা ও গল্প সামলাতে থাকেন। সেই সময় এই সিরিজের মান কিছুটা পড়ে যায়।এরপর ইউদেরজো তাদের দুই সহকর্মী  ইভ্যেস ফের্‌রী ও দিদিয়ার কনর‍্যাডের হাতে তুলেদেন এই গলেদের দায়িত্ব।তাদের হাত ধরেই আবার ফিরে আসে অ্যাসটেরিক্স ও ওবেলিক্স।এদের প্রথম অ্যালবামটি অতোটা জনপ্রিয়তা না পেলেও তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম "অ্যাসটেরিক্স অ্যান্ড দ্য মিসিং স্ক্রোল" সাড়া ফেলে দেয়।বর্তমানে মিসিং স্ক্রোল এই সিরিজের অন্যতম সর্বাধিক বিক্রিত কমিক্সের একটি।
আগে আমরা এই ব্লগেই "অ্যাসটেরিক্স ও পিক্ট দল" পড়েছিলাম সেটাই সর্বপ্রথম প্রকাশিত গল্প যাতে আসল স্রষ্টারা কাজ করেন নি।এই নতুন অভিযানে নতুন টিমের হাতে ইউদেরজো দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন ও তিনি অবসর নিয়েছেন।
অ্যাসটেরিক্স,অবেলিক্সের সঙ্গে ইউদেরজো আর
নতুন স্রষ্টাদ্বয়। 

আজ পড়ুন অ্যাসটেরিক্স ও হারানো পাণ্ডুলিপির এর প্রথম পর্ব শুধু মাত্র চিত্রচোর ব্লগে-

বিদ্রঃ এই কমিক্স অ্যালবামটি সব বয়সের পাঠকদের পড়ার উপযোগী।তাই নির্দ্বিধায় পড়ুন ও পড়ান। আর অনুবাদ কেমন হচ্ছে জানাতে ভুলবেন না যেন।



ডাউনলোড করুন



আগামী সপ্তাহে অ্যাসটেরিক্স ও হারানো পাণ্ডুলিপির এর দ্বিতীয় পর্ব পড়তে চোখ রাখুন শুধুমাত্র চিত্রচোর ব্লগে...




বাংলায় অনুবাদ ও প্রচ্ছদপট রূপায়নঃ রূপক ঘোষ।