সোমবার, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭

পোস্ট #০৩৩ : পাপের শহরে ফেরা - লাল বসনা সুন্দরী এবং অন্যান্য গল্প


প্রথমেই সবাইকে শুভ বড়দিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আজকে আমরা আবার পাড়ি দেব ফ্র্যাঙ্ক মিলারের বিখ্যাত সিন সিটির দুনিয়ায়। গত বছর চিত্রচোরে প্রকাশিত হয়েছিল সিন সিটি তথা পাপের শহরের প্রথম কাহিনী “দ্য হার্ড গুডবাই”-এর সম্পূর্ণ ডিজিটাল বাংলা সংস্করণ : কঠিন বিদায়। সেটা মুক্তি পাওয়ার পরেই অনেকে আবদার করেছিলেন যে, পরপর আরও সিন সিটির কমিক্স পড়তে চান। আমি সেখানে জানিয়েছিলাম যে, আগামী বছর অর্থাৎ এবছরে আরও নতুন পাপের শহরের গল্প আসবে। সময়ের অভাবে সেটা করা সম্ভব হচ্ছিল না, তাই আমি “দ্য হার্ড গুডবাই”-এর পরের গল্প “এ ডেম টু কিল ফর” এবছর ধরতে পারিনি, তার পরিবর্তে শুরু করলাম এর পরের তিনটি ছোট গল্পের সংকলন “দ্য বেব হু ওর রেড”-এর বাংলা অনুবাদ। আজ সেটিই আপনারা সম্পূর্ণরূপে পড়বেন।

ফ্র্যাঙ্ক মিলারের সিন সিটির দুনিয়ায় গল্পগুলোকে ইয়ার্ন বলা হয়। ইয়ার্ন কথাটির অর্থ হলো গাঁজাখুরি গল্প বা গুল জাতীয় গল্প, সেক্ষেত্রে আমরা এটিকে “ব্রজদা’র” স্রষ্টা সাহিত্যিক গৌরকিশোর ঘোষের ভাষায় গুল + গল্প = গুল্প বলতে পারি। আমাদের বাংলা সাহিত্যে গুলবাজ দাদাদের সংখ্যা কম নয়, সবচেয়ে বিখ্যাত দু’জন হলেন টেনিদা, আর তিনি যাকে গুরু মানেন তিনি হলেন ঘনাদা। যাই হোক, আমরা প্রসঙ্গ থেকে সরে আসছি, আবার ফেরা যাক।

পাপের শহরের গুল্পগুলিতে প্রকাশকাল অনুসারে আরেকবার নজর বুলানো যাক :

নং ইংরেজি নাম বাংলা নাম মোট ইস্যু সংখ্যা কালেক্টেড এডিশান
০১।দ্য হার্ড গুডবাইকঠিন বিদায়১২দ্য হার্ড গুডবাই
০২।এ ডেম টু কিল ফর০৬এ ডেম টু কিল ফর
০৩।দ্য বেব হু ওর রেড এন্ড আদার স্টোরিজলাল বসনা সুন্দরী এবং অন্যান্য গল্প০১
ওয়ান-শট
বুজস্‌, ব্রডস, এন্ড বুলেটস্‌
০৪।দ্য বিগ ফ্যাট কিল০৫দ্য বিগ ফ্যাট কিল
০৫।সাইলেন্ট নাইট০১
ওয়ান-শট
বুজস্‌, ব্রডস, এন্ড বুলেটস্‌
০৬।দ্যাট ইয়লো বাস্টার্ড০৬দ্যাট ইয়লো বাস্টার্ড
০৭।ড্যাডি’স লিট্‌ল গার্লসিঙ্গেল ইস্যুবুজস্‌, ব্রডস, এন্ড বুলেটস্‌
০৮।লস্ট, লোনলি এন্ড লিথাল
০৯।সেক্স এন্ড ভায়োলেন্স
১০।জাস্ট এনাদার স্যাটার্ডে নাইট
১১।ফ্যামিলি ভ্যালুজ্‌গ্রাফিক নভেলফ্যামিলি ভ্যালুজ্‌
১২।হেল এন্ড ব্যাক০৯হেল এন্ড ব্যাক

আজ আপনারা পড়তে চলেছেন লিস্টের তিন নম্বর ইস্যুটি।



উইল আইজনারের নামানুসারে আইজনার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়, বলা বাহুল্য এটি কমিক্সের ক্ষেত্রে অস্কারের সমতুল্য। ১৯৯৫ সালে এই কমিক্সটি বেস্ট শর্ট স্টোরির জন্য আইজনার পান ফ্র্যাঙ্ক মিলার। এছাড়াও ফ্র্যাঙ্কের ঝুলিতে আরও আইজনার সহ নানান পুরস্কারের কোনও কমতি নেই।

এতে তিনটি গল্প আছে, প্রধান গল্পটিতে আমরা ডোয়েট ম্যাক্‌কার্টিকে দেখতে পাই, শেষে ফার্মের কাছে লড়াইয়ের সময় সে ম্যারিকে জানায় এখানেই (ফার্মে) যে জঘন্য কাজকর্ম হয়েছিল, তার ফলে তার বন্ধুকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং এই গল্পটির সময় কাল কঠিন বিদায়ের প্রায় শেষের কিছুকাল আগে ঘটেছে, আর ডোয়েটের সেই বন্ধুটি আর কেউ নয় “কঠিন বিদায়”-এর নায়ক মার্ভ স্বয়ং।

সিন সিটিতে সব ক’টি গুল্পের মধ্যে ডোয়েটকে সবচেয়ে বেশিবার দেখা গেছে। একে নিয়ে মিলার ৫টি গল্প রচনা করেন।

সিনেমার পর্দায় ডোয়েটের চরিত্রে দু’জন অভিনয় করেছেন। প্রথম পার্টে ক্লাইভ ওয়েন আর দ্বিতীয় পার্টে জশ ব্রোলিন, শেষ পার্টে অর্থাৎ এ ডেম টু কিল ফর গল্পের শেষে দেখা যায় তার মুখে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়েছে এবং তার পরেই ডোয়েটের মুখ বদলে যায়, এই সময় ওয়েনের একটি ক্যামিও করার কথা ছিল ডোয়েটের নতুন মুখের রূপে, কিন্তু অন্য একটি সিনেমার ব্যস্ততার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি, শেষ পর্যন্ত প্রস্থেটিক মেকআপ এফেক্টস্‌-এর সাহায্যে জশের মুখে পরিবর্তন আনা হয়।

আজ এই পর্যন্তই, এখানেই শেষ করছি। আপনারা পড়তে থাকুন।

বি. দ্র. : এটি একটি অ্যাডাল্ট কমিক্স। এরকম মাপের একটি সাইকোলজিক্যাল, এরোটিক, ক্রাইম থ্রিলার গল্পের গভীরতা বোঝার জন্য পুরোপুরি পরিণত মস্তিষ্কের পাঠকের প্রয়োজন। এতে বেশিরভাগ উপাদান বড়দের জন্যই সৃষ্ট। গল্পটির সাইকোলজি বাচ্চাদের (বড়দের তো অবশ্যই) মনে গভীরভাবে রেখাপাত করতে বাধ্য, এছাড়াও এতে অতিরিক্ত মাত্রায় নগ্নতা, অশ্লীল গালাগাল ও তীব্র নৃশংসতা দেখানো হয়েছে যা কঠোরভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। তাই ১৮ বছরের কম বয়স্ক পাঠকদের এটি পড়তে নিষেধ করা হলো

অনুবাদ কেমন হচ্ছে জানাতে ভুলবেন না যেন। মনে রাখবেন আপনাদের উৎসাহই আমাদের এগিয়ে চলার প্রেরণা।


আগামী পোস্টে পড়বেন মজার কমিক্স বিগল বয়েজ, শুধুমাত্র চিত্রচোর ব্লগে...

বাংলায় অনুবাদ ও প্রচ্ছদপট রূপায়ন : রূপক ঘোষ
প্রুফ রিডিং : মোঃ আশিকুর রহমান

সোমবার, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭

Post #০৩২ ইন্দ্রজালের প্রত্যাবর্তন # ০২_নরখাদক গাছ


ভলিউম ০১ সংখ্যা ০৭ এর ইংরেজি সংস্করণ

গতবার অর্থাৎ ১৪ই এপ্রিল, ২০১৭ তে চিত্রচোরের প্রথম বর্ষপূর্তিতে আপনারা পড়েছিলেন শুভাগত দা’র অনুবাদে ইন্দ্রজালের ভলিউম ০২ এর ০৮ নম্বর সংখ্যা “The Golden Princess” এর বঙ্গানুবাদ “সোনালী রাজকুমারী”। এবার আপনারা পড়তে চলেছেন ওনারই অনুদিত ভলিউম ১ এর ৭ নম্বর সংখ্যা “The Man-Eating Plant” এর বাংলা সংস্করণ “নরখাদক গাছ”। এটি আগে শুভাগত দা কিস্তিতে কিস্তিতে ফেসবুকে প্রকাশ করেছিলেন, ব্লগে আগের পোস্টে বলা ছিল। সেটাই আমাদের জন্য এবার সম্পূর্ণরূপে উপহার দিলেন।

যারা আগের পোস্ট পড়েননি, তাদের উদ্দেশ্যে আরও একবার জানিয়ে রাখি :

ভলিউম ০১ সংখ্যা ০৭ এর বাংলা সংস্করণ

টাইমস অফ ইন্ডিয়া থেকে প্রকাশিত ভারতের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও সর্বাধিক বিক্রিত কমিকসের নাম ইন্দ্রজাল কমিকস। ইন্দ্রজাল কমিকস শুরু হয় ১৯৬৪ সালের মার্চ মাসে, ইংরেজিতে শুরু হয় ফ্যান্টম দিয়েই ১৯৬৬ র জানুয়ারি থেকে প্রথম বাংলায় বেতালের আত্মপ্রকাশ। তাই ৬৪-৬৬ পর্যন্ত প্রকাশিত ২২টি ইন্দ্রজালের কখনো বাংলায় অফিশিয়ালি প্রকাশিত হয়নি। আমাদের মূল প্রয়াস হবে এই ২২টি সংখ্যাকে আবার বাংলায় ফিরিয়ে আনা। কিছু কাজ আগেই হয়েছে ফ্যান-ট্রান্সলেশান হিসাবে, আর যেগুলো বাকি আছে, আমরা কয়েকজন ব্লগার ও ইন্দ্রজাল ফ্যান ঠিক করেছি সেগুলো শেষ করবো সবাই মিলে (যারা আমার ফেসবুক প্রোফাইলে আছেন, তারা অনেকে হয়তো জানবেন)।

আজকে আর বেশি কিছু বলার নেই, এই সংখ্যাটি অনুবাদ করেছেন আমাদের সকলের প্রিয় শুভাগত বন্দ্যোপাধ্যায় দাদা, তাই সমস্ত ধন্যবাদ ও ভালোবাসা তাঁর প্রাপ্য।

পড়ার পর পাঠ প্রতিক্রিয়া জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। মনে রাখবেন আপনাদের উৎসাহই আমাদের এগিয়ে চলার প্রেরণা। তাই উৎসাহ না থাকলে পথ চলা থমকে যেতেই পারে। যাই হোক, বেশি কথা না বাড়িয়ে আজ এখানেই শেষ করলাম।

কমিক্স পড়ুন, কমিক্স কিনুন, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

আজ পড়বেন ইন্দ্রজাল কমিকসের খন্ড ০১ সংখ্যা ০৭ “নরখাদক গাছ” শুধুমাত্র চিত্রচোর ব্লগে...

বি. দ্র. : এই কমিকসটি সব বয়সের পাঠকদের পড়ার উপযোগী। তাই নির্দ্বিধায় পড়ুন ও পড়ান।

ডাউনলোড করুন

পরবর্তী পোস্টে আমরা নতুন একটি মজার কমিক্স পড়বো।


বাংলায় অনুবাদ : শুভাগত বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রচ্ছদপট রূপায়ন : রূপক ঘোষ

শুক্রবার, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭

Post #০৩১ লাকি লুক_পশ্চিম আকাশের নিচে # ০৩_ অন্তিম পর্ব


গত সপ্তাহে আপনারা পড়েছিলেন লাকি লুকের চতুর্থ অ্যালবামের প্রথম গল্প...

আজকে চিত্রচোরে লুকের শেষ দিন। আপনাদের ভালো লাগলে লুক আবার আসবে জানিয়েছে। আজ আপনারা পড়বেন লুকের সম্পূর্ণ চতুর্থ অ্যালবাম। আগের দিন আমরা জেনেছিলাম লুকের বাংলা অনুবাদের কিছু বৈশিষ্ট্য, আজ আমরা লুকের স্রষ্টাদের সম্পর্কে নতুন কিছু জানব।

চলুন শুরু করা যাক...

লাকি লুকের স্রষ্টা মরিস

মরিস : Maurice De Bevere এর ছদ্মনাম হিসেবে নামের প্রথম শব্দটি ব্যবহার করতেন বেলজিয়ামের বিখ্যাত এই কার্টুনিস্ট। বেলজিয়ামের Kortrijk শহরে ১৯২৩ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। অ্যালাস্টের বিখ্যাত জেস্যুট কলেজ থেকে তিনি পড়াশুনা করেন, সেখানের পোশাক থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লাকি লুকের পোশাকের আইডিয়া তাঁর মাথায় আসে। মরিস গণিতের ক্লাসে, খাতার মার্জিনের ওপরে বিভিন্ন হিজিবিজি ছবি এঁকে ক্লাসগুলো কাটিয়ে দিতেন, এই দেখে তাঁর গণিতের শিক্ষক মরিসের বাবা-মা’কে ডেকে একবার বলেছিলেন, “এ ছেলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার, ও কখনোই জীবনে সাফল্য পাবে না।” পরবর্তীতে মরিস Compagnie Belge d'Actualités (CBA) নামের একটি স্বল্প-আয়ুর অ্যানিমেশান স্টুডিয়োতে ছবি আঁকার কাজ শুরু করেন, সেখানেই পরিচয় হয় Peyo আর André Franquin এর সাথে। যুদ্ধের পরে কোম্পানি বন্ধ হয়ে যায় আর মরিস ইলাস্ট্রেটর হিসেবে Het Laatste Nieuws নামের একটা ফ্লেমিস সংবাদপত্রে কাজ শুরু করেন। আর পাশাপাশি চলতে থাকে Le Moustique নামের এক ফরাসি ভাষার সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনের কাজ। এই ম্যাগাজিনের প্রকাশনা সংস্থা ছিল Dupuis, দ্যুপের হয়ে তিনি ২৫০-র অধিক প্রচ্ছদ আর ইলাস্ট্রেশান করেছিলেন, তার বেশিরভাগই ছিল বিভিন্ন চলচ্চিত্র তারকাদের ক্যারিকেচার।

লুকের প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৪৬ সালের স্পিরু ম্যাগজিনে। প্রকাশনা সংস্থা সেই Dupuis। ফ্রান্সে হার্জের বিখ্যাত টিনটিন ম্যাগাজিন ছিল স্পিরুর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। লুকের প্রথম অভিযান অ্যারিজোনা ১৮৮০, L'Almanach Spirouতে প্রকাশিত হয় সেটা ৭ই ডিসেম্বর ১৯৪৬ এ মুক্তি পেয়েছিল। মরিস স্পিরুর প্রধান চারজন আর্টিস্টের একজন হয়ে ওঠেন বেশ তাড়াতাড়ি। এই চার শিল্পীর যুগলবন্দীকে "La bande des quatre" বলা হত, বাকি তিনজন ছিলেন Jijé, André Franquin আর Will।

লুক আর মরিস পাশাপাশি, মরিস ছবি আঁকায় ব্যস্ত।

চারজনে বেশ ভালো বন্ধু ছিলেন, প্রত্যেকে পরস্পরকে সাহায্য করতেন। মরিস একক প্রচেষ্টায় লুককে নিয়ে ৯টি কমিক অ্যালবাম বানান, সেগুলোর সব ক’টি Dupuis থেকেই প্রকাশিত হয়। এরপর মরিস অ্যাসটেরিক্সের স্রষ্টা রেনে গসিনির সাথে গাঁটছড়া বাঁধেন। এই দুজনের যুগলবন্দীতে সৃষ্টি লুকের অভিযানগুলি আরও বেশি সফলতা পায়। আমাদের বাংলায় পড়া লুকের অফিসিয়াল চারটে কমিক্স অ্যালবাম এই জুটির সৃষ্টি। এনাদের সময়কালকে এই সিরিজের স্বর্ণযুগ হিসাবে গণ্য করা হয়। ১৯৫৭ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত গসিনি আর মরিস দু’জনে লাকি লুকের ২২টি অভিযানের সৃষ্টি করেন, সেগুলোর সবগুলি Dupuis থেকে প্রকাশিত হয়। ৩১টি অভিযান Dupuis থেকে প্রকাশের পর ষাটের দশকের মাঝামাঝি মরিস Dupuis আর স্পিরু ছেড়ে বন্ধু গসিনির প্রকাশনা সংস্থা দারগো আর পাইলট ম্যাগাজিনে যোগ দেন।

বাঁ দিকে অ্যাসটেরিক্সের আর পাশে লুকের অ্যালবাম হাতে নিয়ে গসিনি আর মরিস।

২০০১ সালে Pulmonary Embolism বা ফুসফুসে রক্ত ক্লট বাঁধায়, বুকের যন্ত্রণায় মরিসের মৃত্যু হয়। মরিসের মৃত্যুর পরেও অনেক শিল্পীরা লুককে বাঁচিয়ে রেখেছেন। লুক এখনও প্রকাশিত হয়।

শিশু সাহিত্য সংসদ থেকে বাংলায় প্রকাশিত চারটি লাকি লুকের কমিক্সগুলিও মরিস আর গসিনির মিলিত সৃষ্টির ফসল।

চতুর্থ অ্যালবামের বাংলা সংস্করণের প্রচ্ছদ

কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি :

নাম : Sous le ciel de l'Ouest (আন্ডার এ ওয়েস্টার্ন স্কাই)
লেখক ও চিত্রশিল্পী : মরিস
প্রকাশক : Dupuis
প্রকাশকাল : ১৯৫২
টাইপ : কমিক অ্যালব্যাম

বি. দ্র. : সব বয়সের পাঠকদের পড়ার উপযোগী।

এটি তিনটি গল্পের সংকলন। আপনার জন্য আজ থাকছে সম্পূর্ণ চিত্রচোর সংস্করণ। অনুবাদ যথাসম্ভব আগের লুকের অনুবাদের মতোই সরস রাখার চেষ্টা করা হয়েছে, বাকিটা আপনারা ভালো বলতে পারবেন। আজ পড়ুন পশ্চিম আকাশের নিচে এর সম্পূর্ণ চিত্রচোর সংস্করণ শুধুমাত্র চিত্রচোর ব্লগে।

বি. দ্র. : এই কমিক্স অ্যালবামটি সব বয়সের পাঠকদের পড়ার উপযোগী। তাই নির্দ্বিধায় পড়ুন ও পড়ান। আর অনুবাদ কেমন হচ্ছে জানাতে ভুলবেন না যেন।

ডাউনলোড করুন [হাই কোয়ালিটি]


ডাউনলোড করুন [মোবাইল কোয়ালিটি]


আগামী সপ্তাহে ইন্দ্রজালের প্রত্যাবর্তন #০২ পড়তে চোখ রাখুন শুধুমাত্র চিত্রচোর ব্লগে...


বাংলায় অনুবাদ ও প্রচ্ছদপট রূপায়ন : রূপক ঘোষ
প্রুফ রিডিং : মোঃ আশিকুর রহমান

রবিবার, নভেম্বর ২৬, ২০১৭

পোস্ট #০৩০ : লাকি লুক এবার চিত্রচোরে... পশ্চিম আকাশের নিচে #০২


গত সপ্তাহে আপনারা পড়েছিলেন লাকি লুকের চতুর্থ অ্যালবামের দ্বিতীয় গল্প...

চতুর্থ অ্যালবামের বাংলা সংস্করণের প্রচ্ছদ

কথামতো আজকেও চিত্রচোরে লুক উপস্থিত। আজ আপনারা পড়বেন লুকের চতুর্থ অ্যালবামের প্রথম গল্প। আগের দিন আমরা লুকের কাহিনীর নেপথ্যের কিছু তথ্য জেনেছিলাম। আজকে আমরা জানবো, লুকের বাংলা অনুবাদের কিছু বৈশিষ্ট্য, আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক :

বাংলায় লুকের গল্পগুলির মধ্যে মাত্র চারটে গল্প প্রকাশিত হয়, শিশু সাহিত্য সংসদ থেকে; তাও নব্বই এর মাঝখানে। সে সময়ে লুকের অ্যালবামগুলি প্রখ্যাত সাহিত্যিকেরা অনুবাদ করলেও তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি এবং মাত্র চারখানি অভিযানের পরেই বাংলায় লুকের পথচলা থেমে যায়। আজ এত বছর পরে সেই সব বইগুলির জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। লুকের প্রকাশ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে, সেই কমিক্স অ্যালবামগুলির আর পুনঃপ্রকাশ হয়নি। এখনো কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়ার পুরনো দোকানে কখনো কখনো কোনও ভাগ্যবান পাঠক ও সংগ্রাহকেরা হঠাৎ খুঁজে পান সেই বইগুলি। আমার নিজের ভাগ্যেও বছর দুয়েক আগে ঘটেছিল সে রকম ঘটনা। চারটে বইয়ের মধ্যে মাত্র দুটো সৌভাগ্যক্রমে আমার হাতে আসে, এখনও বাকি দুটোর সন্ধান চলছে। সে যাই হোক, এবার দেখে নেই কবে থেকে অনুবাদ শুরু হয় ও কে কে কোন অ্যালবামগুলি অনুবাদ করেছিলেন...

শিশু সাহিত্য সংসদ থেকে বাংলায় প্রকাশিত চারটি লাকি লুকের কমিকস্‌ সিরিজের প্রচ্ছদের ছবি

সব্বনেশে জেন : লীলা মজুমদারের অনুবাদে বাংলায় প্রথম লুকের আত্মপ্রকাশ। ১৯৯৪ সালে প্রথম লাকি লুকের অ্যালবাম “সব্বনেশে জেন” বা “Calamity Jane” শিশু সাহিত্য সংসদ থেকে প্রকাশিত হয়। লীলা মজুমদারের অসাধারণ অনুবাদে তিনি আসল রচনার সেই কাউবয়দের ওল্ড ওয়েস্টের সময়কাল, প্রেক্ষাপট ও চরিত্রগুলিকে নিখুঁতভাবে বাংলায় সফল রূপদান করেছিলেন, সেই সঙ্গে ছিল সূক্ষ্ম হাস্যরসের মিশেল। প্রথম অ্যালবামের সব সংলাপগুলো টাইপড্‌ ফন্টেই করা হয়েছিল, আশেপাশের প্রেক্ষাপটের বেশ কিছু সাইনবোর্ড বা লেটারিং এর অংশগুলি হাতে লিখে করা হয়েছিল।

পুরো ডালটন পরিবার এক ফ্রেমে

মা ডালটন, ওয়েস্টার্ন সার্কাস ও ডাল্টনদের ডাক্তার : লীলা মজুমদারের পর এই সিরিজে অনুবাদের দায়িত্ব সামলান হীরেন চট্টোপাধ্যায়। বইগুলি যথাক্রমে ১৯৯৫, ১৯৯৭১৯৯৮ এ প্রকাশ পায়। মা ডালটনে প্রথম চার ডালটন ভায়েদের দেখা মেলে, যাদের নাম লুকের জগতের কুখ্যাত অপরাধীদের মধ্যে সবচেয়ে আগে আসে। এই চার ডালটন ভায়েরা হলেন যথাক্রমে জো, উইলিয়াম, জ্যাক আর অ্যাভারেল। লুক যতবারই এদের ধরে জেলে পোরে, ওরা জেল থেকে পালায়, ডালটন ভাইয়েরা লুকের ফ্যানেদের খুব পছন্দের একটি চরিত্র, মা ডালটন গল্পে ওদের মা এর দেখা পাই আমরা। এরপর বাংলায় আবার ডালটনেরা ফিরে আসে ডালটনদের ডাক্তার গল্পে। সেই গল্পে একজন মনের ডাক্তার ডালটনদের চিকিৎসা করে সুস্থ করার প্রচেষ্টা করেন। আর ওয়েস্টার্ন সার্কাস গল্পে লুক এক অসাধারণ সার্কাস পার্টির মুখোমুখি হয়। হীরেন চট্টোপাধ্যায়ের অনুবাদগুলিতে স্পিচ্ বাবলগুলোতে লেখা সংলাপগুলি পুরোটাই হাতে লিখে করা হত, যা অনুবাদে একটি আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছিল। হাতে লেখাগুলি লিখেছিলেন প্রণব সিকদার।

হারিয়ে যাওয়া এই কমিকস অ্যালবামগুলি নেটে পাওয়া যায়। পাঠকদের পড়ার ইচ্ছে থাকলে সেগুলো পরবর্তীতে এখানেও শেয়ার করা যেতে পারে...

আজ আমরা যে গল্পটা পড়তে চলেছি সেটা মরিসের একক প্রচেষ্টার চতুর্থ অ্যালবাম “Under a Western Sky” থেকে নেওয়া হয়েছে।

এটি তিনটি গল্পের সংকলন। আপনার জন্য আজ থাকছে তার মধ্যের প্রথম গল্পটি। অনুবাদ যথাসম্ভব আগের লুকের অনুবাদের মতোই সরস রাখার চেষ্টা করা হয়েছে, বাকিটা আপনারা ভালো বলতে পারবেন। আজ পড়ুন পশ্চিম আকাশের নিচে এর দ্বিতীয় পর্ব শুধুমাত্র চিত্রচোর ব্লগে—



বি. দ্র. : এই কমিক্স অ্যালবামটি সব বয়সের পাঠকদের পড়ার উপযোগী। তাই নির্দ্বিধায় পড়ুন ও পড়ান। আর অনুবাদ কেমন হচ্ছে জানাতে ভুলবেন না যেন।




আগামী সপ্তাহে “পশ্চিম আকাশের নিচে” এর তৃতীয় পর্ব পড়তে চোখ রাখুন শুধুমাত্র চিত্রচোর ব্লগে...


বাংলায় অনুবাদ ও প্রচ্ছদপট রূপায়ন : রূপক ঘোষ
প্রুফ রিডিং : মোঃ আশিকুর রহমান
বিশেষ সহায়তা : প্রতীক চক্রবর্তী

শুক্রবার, নভেম্বর ১০, ২০১৭

Post #০২৯ লাকি লুক এবার চিত্রচোরে...পশ্চিম আকাশের নিচে # ০১



আমাদের সঙ্গে লুকের কথা হয়েছিলো গত সপ্তাহে ...লুক জানিয়েছিল আসবে আর চিত্রচোর থেকে ঘুরে যাবে। সেইমতো লুক কথা রেখেছে, তাই তার অসংখ্য ধন্যবাদ।এখন কয়েক সপ্তাহ উনি আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।




সে যাহোক এবার জেনে নেওয়া যাক লাকি লুকের গল্পের পেছনের কিছু ইতিহাস...






চতুর্থ অ্যালবামের ইংরাজি সংস্করনের প্রচ্ছদ
লাকি লুক একটা ওয়েস্টার্ন কমিক্স সিরিজ। বেলজিয়ান কার্টুনিস্ট মরিস ১৯৪৬ এ লুকের সৃষ্টি করেন। মরিস প্রথমে নিজেই গল্প লেখা আর আঁকার কাজ দুটোই করতেন,১৯৫৫ সালে উনি অ্যাসটেরিক্স এর সহ স্রষ্টা রেনে গোসিনির সাথে কাজ করা শুরু করেন। ২০০১ সালে মরিসের মৃত্যুর পর ফ্রেঞ্চ শিল্পী Achdé লুকের ছবি আঁকতে থাকেন।

গল্পের প্রেক্ষাপট আমেরিকার ওল্ড ওয়েস্টে।এই সিরিজে প্রধানত আমাদের পশ্চিমের দুর্ধর্ষ বন্দুকবাজ লাকি লুককেই দেখা যায়, যে নিজের ছায়ার চেয়েও গতিবেগে গুলি চালাতে সক্ষম, সর্বদা সাথে থাকে জলি জাম্পার বা বাংলা অনুবাদে টরটরে টাট্টু। লুককে এই সিরিজে নানান ভিলেনদের সঙ্গে লড়তে দেখা গেছে,তার মধ্যে বেশ কিছু কাল্পনিক আর কিছু আমেরিকার ইতিহাস ও গল্পকাহিনীর বেশ কিছু চরিত্রের দেখা মিলেছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ডালটন ভাইয়েরা। গল্পগুলি হাস্যরসে পরিপূর্ণ যাতে পশ্চিমি সংস্কৃতির ছাপ লক্ষ্য করা যায়।


লাকি লুক  ইউরোপের সর্বাধিক পরিচিত ও সর্বাধিক বিক্রীত কমিক্স সিরিজের একটি।এটা ২৩টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। ২০১৭ পর্যন্ত এই সিরিজে মোট ৮৩ টি অ্যালবাম আছে।  লুকের ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে অন্য শিল্পীদের তুলিতে আরও দুটো অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলায় লুকের চারটি অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছিল শিশু সাহিত্য সংসদ থেকে। অনুবাদ করেছিলেন লীলা মজুমদার ও বাকি তিনটি হীরেন চট্টোপাধ্যায়। সেই অনুবাদ প্রসঙ্গ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে আমাদের পরের পর্বে।



চতুর্থ অ্যালবামের বাংলা সংস্করণের প্রচ্ছদ

আজ আমরা যে গল্পটা পড়তে চলেছি সেটা মরিসের একক প্রচেষ্টার চতুর্থ অ্যালবাম "Under the Western Sky" থেকে নেওয়া হয়েছে।

এটি তিনটি গল্পের সংকলন। আপনার জন্য আজ থাকছে,তার মধ্যের দ্বিতীয় গল্পটি। অনুবাদ যথাসম্ভব আগের লুকের অনুবাদের মতোই সরস রাখার চেষ্টা করা হয়েছে, বাকিরা আপনারা ভালো বলতে পারবেন।

* সমস্ত তথ্যসূত্র উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত।
** প্রথম ও দ্বিতীয় ছবিটি পশ্চিম আকাশের নিচে এর ইংরাজি ও বাংলা সংস্করণ এর ছবি।




আজ পড়ুন  পশ্চিম আকাশের নিচে এর প্রথম পর্ব শুধু মাত্র চিত্রচোর ব্লগে-



বিদ্রঃ এই কমিক্স অ্যালবামটি সব বয়সের পাঠকদের পড়ার উপযোগী।তাই নির্দ্বিধায় পড়ুন ও পড়ান। আর অনুবাদ কেমন হচ্ছে জানাতে ভুলবেন না যেন।


ডাউনলোড করুন

আগামী সপ্তাহে "পশ্চিম আকাশের নিচে" এর দ্বিতীয় পর্ব পড়তে চোখ রাখুন শুধুমাত্র চিত্রচোর ব্লগে...

শুক্রবার, অক্টোবর ২০, ২০১৭

Post #0২৮ শেষ বেতাল...শেষ পর্ব #১৩


দিওয়ালী ধামাকা


বাইকে শুভ দীপাবলির শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট। বহুকাল পরে আবার চিত্রচোর হাজির। এবারের পোস্টে থাকছে দিওয়ালী ধামাকা

এবার আপনার জন্য বহু প্রতীক্ষিত শেষ বেতালের শেষ পর্ব।


চিত্রচোরের প্রথা অনুযায়ী কোনও কাহিনী কয়েক পর্বে সমাপ্ত হলে সেই কাহিনীর শেষ পর্বে সমস্ত কাহিনীটিকে পুনরায় একত্রিত করে পরিবেশন করা হয়,আজও তার অন্যথা হবে না। 

তার আগে শেষ বারের মতো শেষ বেতালের কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাকঃ-

শেষ বেতাল চিত্রচোরে প্রথম শুরু হয় দেবীপক্ষের আগমনের সময় অর্থাৎ মহালয়ার দিন, ২৯ শে সেপ্টেম্বর,২০১৬ থেকে। সেটা এখনো চলছিল।আমি নিজে ভেবেছিলাম যে এটা দীপাবলির মধ্যে শেষ করবো।অর্থাৎ অক্টোবরের শেষ দিকে, এই পরিকল্টাপনাটা যে কোনও ভাবেই শেষ করা সম্ভব হয়নি সেটা এই ব্লগের পাঠকদের অজানা নয়।বরং বড়দিনে শেষ করার পরিকল্পনাতেও আমি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছি।শেষ বেতাল যেন এক দুঃস্বপ্নের মতো আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে,আর সেই দুঃস্বপ্নের সমাপ্তি তখনো ঘটেনি। এর যথেষ্ট কারনও ছিল, কারন শেষ বেতাল হচ্ছে চিত্রচোরের অনুদিত সর্ববৃহৎ অনুবাদ।এটা সম্পূর্ণ রূপে তিনশোর কিছু বেশি পাতার এক সম্পূর্ণ গ্রাফিক উপন্যাস।"দ্য লাস্ট ফ্যান্টমে তিন বছর ২০১০-২০১২ ধরে ১৩টি খন্ডে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়,ডায়নামাইট এন্টারটেনমেন্ট পাব্লিকেশান এর তরফ থেকে।সেটা এতোটা তাড়াতাড়ি একার পক্ষে অনুবাদ করাও কিন্ত খুব সহজ কাজ নয় বলেই মনে করি।সে যাই হোক,শুরু যখন করেছি তখন আমাকে শেষ তো করতেই হবে,আর সেটা শেষ করা আমার কর্তব্য। বছর পেরিয়ে আবার সেই দীপাবলীর দিন উপস্থিত। এবার আগে ভাগে ঢাক না পিটিয়ে চুপিচুপি এগোচ্ছিলাম,ইচ্ছা ছিল বিজয়ায় কিছু পোস্ট করার, সেটাও সম্ভব হয়নি। যাইহোক আগের ১২ টা  ইস্যুতে বানানের দিকে বহু ভুলভ্রান্তি ছিল এবার সেটাকে যথা সম্ভব ঠিক করে, একত্রিত করে তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। পড়তে থাকুন।


শেষ বেতাল বার্ষিকীর প্রচ্ছদ

  • শেষ বেতাল বার্ষিকী ঃ অপবিত্রের আক্রমণ



শেষ বেতাল সিরিজের প্রকাশকালে ২০১০-২০১২ র মধ্যে ২০১২ তে একটি মাত্র বার্ষিক সংখ্যা প্রকাশিত হয়। এই সংখ্যার গল্পটি আমাদের মূল গল্পটির আগের কাহিনী, অর্থাৎ এটা পড়ে শুরু করতে হবে শেষ বেতাল প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড।


ডাউনলোড করুন [হাই কোয়ালিটি]





প্রথম খণ্ডঃ ভৌতিক পদভ্রমণ এর প্রচ্ছদ


  • শেষ বেতাল_প্রথম খন্ডঃ ভৌতিক পদভ্রমণ


এর আগে চিত্রচোরে পড়া শেষ বেতালের ০১-০৬ পর্ব নিয়ে ভৌতিক পদভ্রমণ শেষ হচ্ছে। আগের সব অনিচ্ছাকৃত ভুলভ্রান্তি যথাসম্ভব শুধরে নিয়ে* প্রথম ছয়টি পর্ব একত্রে সম্পূর্ণ সংশোধিত সংস্করণ রইলো আপনার জন্য।


ডাউনলোড করুন [হাই কোয়ালিটি]


ডাউনলোড করুন [মোবাইল কোয়ালিটি]



  • শেষ বেতাল_দ্বিতীয় খন্ডঃ অরণ্যের আইন


এর আগে চিত্রচোরে পড়া শেষ বেতালের ০৭-১২ পর্ব নিয়ে অরণ্যের আইন শেষ হচ্ছে। আগের সব অনিচ্ছাকৃত ভুলভ্রান্তি যথাসম্ভব শুধরে নিয়ে* শেষ ছয়টি পর্ব একত্রে সম্পূর্ণ সংশোধিত সংস্করণ রইলো আপনার জন্য।


ডাউনলোড করুন [হাই কোয়ালিটি]


ডাউনলোড করুন [মোবাইল কোয়ালিটি]


* শেষ বেতাল ০১-১২ সংখ্যাগুলির প্রুফ রিড করে আমাদের বানান সংশোধনে বিশেষ সহায়তা করেছেন চিত্রচোরের গুণমুগ্ধ পাঠক বন্ধু মোঃ আশিকুর রহমান। 


বিদ্রঃ এটি একটি টিন কমিকস। অর্থাৎ,টিনেজারদের বা তার চেয়ে বেশী বয়সের পাঠকদের কথা মাথায় রেখে বানানো হয়েছে।এটি অ্যাডভেঞ্চার, ক্রাইম থ্রিলার গল্প।এতে কিছুক্ষেত্রে তীব্র নৃশংসতা দেখানো হয়েছে,ও কিছুক্ষেত্রে কিছু স্বল্পবসনা চরিত্রের দৃশ্যগুলির ক্ষেত্রে অনেকের আপত্তি আসতে পারে ।তাই বাচ্চাদের অভিভাবকের উপস্থিতিতেই পড়ানো উচিত। আর অনুবাদ কেমন হচ্ছে জানাতে ভুলবেন না যেন।



বাংলায় অনুবাদ ও প্রচ্ছদপট রূপায়নঃ রূপক ঘোষ।
প্রুফ রিডিংঃ মোঃ আশিকুর রহমান।






শনিবার, এপ্রিল ১৫, ২০১৭

পোস্ট #০২৭ : ইন্দ্রজালের প্রত্যাবর্তন... শুভারম্ভ #০১



কথামতো আজকের 
পর্বে শেষ বেতাল অনুপস্থিত।


আজ পয়লা বৈশাখ। 


খন্ড ০২ সংখ্যা ১৮ এর ইংরাজী প্রচ্ছদ
এই নববর্ষ নবরূপে রাঙিয়ে দিক প্রতিটি মুহুর্ত সুন্দর ও সমৃদ্ধ হোক সকলের আগামী দিনগুলি...সকলকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানাই...

গতবছর এই দিনেই শুরু হয়েছিল চিত্রচোরের পথচলা।সেই হিসেবে আজকের দিনেই চিত্রচোর প্রথম বর্ষে পা দিল। গত একবছরে আপনাদের মতো অনেক গুনমুগ্ধ অনুরাগীরাই চিত্রচোরের বড় প্রাপ্তি ও এটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মূল কারণ। আমি আশাকরি আগের অনুবাদগুলি আপনাদের ভালো লেগেছে। এবছর কাজের চাপে কতোটা ব্লগে ফিরতে পারবো জানা নেই। গতবছর আমি একা কাজ করেছিলাম, এবার আমাদের চিত্রচোর পরিবার আস্তে আস্তে বড়ো হচ্ছে। শুভাগত দা,পার্থ অরন্যদেব,কুন্তল দা, সাওন, আশিকুর ভাই, সুদীপ দা এবং আরও অনেকে আমার অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন। আমার অনুপস্থিতিতে তারাই হয়ে উঠবেন চিত্রচোরের নতুন পথের দিশারী...


শুরুর আগেঃ- গতবারের পোষ্ট পড়ে থাকলে আশাকরি আপনার মনে থাকার কথা যে এবারে একটা বেশ বড়ো প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল।সেইমত এই অধম হাজির হয়েছে সেই স্বপ্নের প্রজেক্ট নিয়ে। যার নাম হচ্ছে ইন্দ্রজালের প্রত্যাবর্তন। চলুন তবে শুরু করা যাক। 


ইন্দ্রজাল কমিক্স সম্পর্কে দু-চার কথাঃ-আমার আগে এতো জ্ঞানী-গুনী মানুষজন এই বিষয় নিয়ে লিখেছেন তার ইয়ত্তা নেই,ইন্দ্রজাল কমিক্স নিয়েও ব্লগের সংখ্যাও নেহাতই কম নয়।তাই এনিয়ে নতুন কিছু বলার মতো আমার কাছে বেশি কিছু থাকারও কথা নয়,তবুও চেষ্টা করছি সংক্ষেপে কিছু জ্ঞাতব্য বিষয় সম্পর্কে বলার।
খন্ড ০২ সংখ্যা ১৮ বাংলা অনুবাদ রূপান্তর

টাইমস অফ ইন্ডিয়া থেকে প্রকাশিত ভারতের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও সর্বাধিক বিক্রিত কমিকসের নাম ইন্দ্রজাল কমিকস। ইন্দ্রজাল কমিকস শুরু হয় ১৯৬৪ সালের মার্চ মাসে,ইংরাজিতে শুরু হয় ফ্যান্টম দিয়েই ১৯৬৬ র জানুয়ারি থেকে প্রথম বাংলায় বেতালের আত্মপ্রকাশ।তাই ৬৪-৬৬ পর্যন্ত প্রকাশিত ২২ টি ইন্দ্রজালের কখনো বাংলায় অফিশিয়ালি প্রকাশিত হয়নি।আমাদের মূল প্রয়াস হবে এই ২২ টি সংখ্যাকে আবার বাংলায় ফিরিয়ে আনা।কিছু কাজ আগেই হয়েছে ফ্যান-ট্রান্সলেশান হিসাবে,আর যেগুলো বাকি আছে সেগুলি আমরা কয়েকজন ব্লগার ও ইন্দ্রজাল ফ্যান ঠিক করেছি বাকিগুলো শেষ করবো সবাই মিলে (যারা আমার ফেসবুক প্রোফাইল এ আছেন তারা অনেক হয়তো জানবেন )।


১৯৬৪-১৯৯০ পর্যন্ত প্রকাশিত ইন্দ্রজাল কমিকসের  প্রকাশকালীন ধরনের একটি তালিকা


বিঃদ্রঃ উপরের তালিকায় প্রতি বছর অনুসারে একেকটি ভলিয়ুম ধরা হয়েছে। ভলিয়ুম বা খন্ড
নামকরন শুরু হয় ১৯৮৩ সাল থেকে ২০ খন্ড নামে ও শেষ হয় ২৭ খন্ডে।


তাহলে উপরের লিস্ট থেকে আমাদের কাজ হবে প্রথম দুটি ভলিয়ুম কে বাংলায় ফিরিয়ে আনা।এখানে আরেকটি ব্যাপার বলে নিতে চাই এই ২২ টি সংখ্যার অনেকগুলোই পরে পুনর্মুদ্রিত হয়,তাহলেও বেশীরভাগ ক্ষেত্রে অনেক প্যানেল বাদ দেওয়া হয়েছিল। আমাদের সমস্ত অনুবাদে আসল গল্প ছাড়াও ওর সাথের অতিরিক্ত পার্শ্ব গল্প, জ্ঞান-বিজ্ঞান,ভ্রমণকাহিনী ও অতিরিক্ত বিজ্ঞাপনের পৃষ্ঠাগুলোও যথাসম্ভব অনুবাদের মাধ্যমে একেকটি সম্পূর্ণ সংখ্যা উপহার হিসেবে আপনাদের হাতে তুলে দেওয়াই হবে এই প্রজেক্ট এর মূল উদ্দেশ্য ।


ইন্দ্রজালের ফ্যান ট্রান্সলেশানের  সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ-


০১। এই কাজের আমাদের পথ প্রদর্শক শ্রদ্ধেয় রঞ্জন দত্ত মহাশয়,  ২০১০ সালে ওনার করা প্রথম ইন্দ্রজাল অনুবাদ থেকেই ইন্দ্রজাল অনুবাদ করার এই প্রচলন শুরু হয়। সংখ্যা ছিল ভলিয়ুম ২ এর ২২ নং সংখ্যা "এ স্ট্রিং অফ ব্ল্যাক পার্লস্‌ " বা রঞ্জনদার অনুবাদে "কালো মুক্তার কন্ঠহার"। এটি প্রথম প্রকাশ হয়েছিল ওনার ব্লগ "বাংলা ইন্দ্রজাল কমিক্স"এ।

ব্লগ লিঙ্কঃ- http://indrajalbengali.blogspot.in/


০২। এরপর ২০১৪ সালে অধ্যাপক সাগ্নিক প্রসাদ ঘোষ মহাশয় যিনি আন্তর্জালে হোজো নামেও পরিচিত। উনিও  ইন্দ্রজালের প্রকাশিত সর্বপ্রথম সংখ্যা "দ্য ফ্যন্টম্স‌ বেল্ট" বাংলায় অনুবাদ করেন "বেতালের বেল্ট" নাম দিয়ে। এটি প্রথম প্রকাশ হয়েছিল ওনার ব্লগ "দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড" এ।

০৩। এরপর ২০১৪ তেই সেই সময় শ্রদ্ধেয় শুভাগত বন্দ্যোপাধ্যায় দা ভলিয়ুম ২ এর ১৮ নং সংখ্যার অনুবাদের কাজ শুরু করলেও অসমাপ্ত সেই কাজ শেষ করেন ২০১৬ সালে। ফেসবুকে প্রকাশিত হয় "দ্য গোল্ডেন প্রিন্সেস" এর বঙ্গানুবাদ  "সোনালী রাজকুমারী"।

ফেসবুক প্রোফাইল  লিঙ্কঃ- https://www.facebook.com/subhagata.bandyopadhyay

০৪। এরপর এবছরে ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসে বন্ধুবর শ্রীমান পার্থ মুখার্জী মহাশয় যিনি পার্থ অরন্যদেব মুখার্জী নামেও ফেসবুকে পরিচিত, তার সৌজন্যে ভলিয়ুম ২ এর ১৪ নং সংখ্যা "দ্য মিস্ট্রী অফ দ্য র‍্যাটেল" এর বঙ্গানুবাদ  "রহস্যময় ঝুমঝুমি" প্রকাশিত হয় তারই "কমিকওনুবাদ" ফেসবুক পেজে।

ফেসবুক পেজ  লিঙ্কঃ- https://www.facebook.com/onubadokerasor/?hc_ref=SEARCH

০৫।   শুভাগত বন্দ্যোপাধ্যায় দার দ্বিতীয় ইন্দ্রজাল অনুবাদ ভলিয়ুম ১ এর ০৭ নং সংখ্যা "দ্য ম্যান এটিং প্ল্যান্ট" এর বঙ্গানুবাদ  "নরখাদক গাছ" সদ্য ধারাবাহিকভাবে ফেসবুকে প্রকাশিত হচ্ছে।

০৬। এরপর আবার পার্থ অরন্যদেব মুখার্জীর দ্বিতীয় ইন্দ্রজাল অনুবাদ ভলিয়ুম ২ এর ১৬ নং সংখ্যা "দ্য ডায়মন্ড কাপ" এর বঙ্গানুবাদ  "হীরের পেয়ালা" সদ্য প্রকাশিত হয়েছে।

এছাড়াও কুন্তলদা, সুদীপ দেব দা, মৈনাক নাথ দা, সৌমেন চ্যাটার্জী দা,রঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায় দা, দেবজ্যোতি বাবু,সাওন দত্ত প্রমুখ আগে নানান রকম কমিক্স ও গল্প অনুবাদ করেছেন বলে ওনাদেরও অনুরোধ জানানো হয়েছে...


 

বিঃদ্রঃ এই তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত সমস্ত বাংলা শিরোনামগুলি প্রয়োজনে পরিবর্তন হতে পারে।

এই তালিকাটি প্রস্তুত করার সময় বাংলা নামগুলির যথাযথ নামকরণ প্রসঙ্গে সর্বত ভাবে সাহায্য করেছেন মিস্টার ওয়াকার বা স্বাগত দত্ত বর্মণ, পার্থ অরন্যদেব মুখার্জী শুভাগত বন্দ্যোপাধ্যায় দাদা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ইন্দ্রনাথ ব্যনার্জী দাদার এই ক্ষেত্রে  বিশেষ মতামত আমাদের চলার পথে পাথেয় হয়েছে।


বিঃদ্রঃ উপরের তালিকা এবং এই লেখায় প্রদত্ত তথ্যাবলির বিভিন্ন অংশ বাংলার নানান ইন্দ্রজাল বিষয়ক ব্লগের থেকে তথ্য নিয়ে সম্পূর্ণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য  বাংলা ইন্দ্রজাল কমিক্স, দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড , ওয়াকার ইন্দ্রজাল  ও বেঙ্গলি ইন্দ্রজাল কমিক্স ফরেভার ব্লগগুলি।



আজ পড়বেন ইন্দ্রজাল কমিকসের খন্ড ২ সংখ্যা ১৮ " সোনালী রাজকুমারী "  
শুধু মাত্র চিত্রচোর ব্লগে-


বিঃদ্রঃ এই কমিকস্‌টি সব বয়সের পাঠকদের পড়ার উপযোগী।তাই নির্দ্বিধায় পড়ুন ও পড়া ন। আর অনুবাদ কেমন হচ্ছে জানাতে ভুলবেন না যেন।








পরবর্তী পোষ্টে আমরা শেষ বেতাল এর 

ফেরার আশায় থাকবো...


তারপর এক এক করে আবার শুরু হবে ইন্দ্রজালের প্রত্যাবর্তন... 





বাংলায় অনুবাদঃ শুভাগত বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রচ্ছদপট রূপায়নঃ রূপক ঘোষ।


শনিবার, জানুয়ারী ২১, ২০১৭

Post #0২৬ বেতাল আছেন চিত্রচোরে...শেষ বেতাল #১২

বেতাল আছেন, এখনো ?? ...

অ্যালেক্স রসের করা  #১২ ইস্যুর প্রচ্ছদ
বাইকে ইংরাজি নতুন বছরে Happy New Year জানিয়ে আজকের পোষ্টটা শুরু করছি।যদিও জানি আমি এটা পোষ্ট করতে অনেকটাই দেরি করে ফেলেছি।তবুও আজকের পোষ্ট এই বছরের প্রথম পোষ্ট তাই ভাবলাম,Happy New Year জানানোটা জরুরী।হ্যাঁ আবারও হয়তো নিরাশ করতে চলেছি এই ব্লগের কিছু পাঠকদের।এখনো একই জিনিষ নিয়েই বিরক্ত করবো সেটা হচ্ছে শেষ বেতাল

শেষ বেতাল চিত্রচোরে প্রথম শুরু হয় দেবীপক্ষের আগমনের সময় অর্থাৎ মহালয়ার দিন, ২৯ শে সেপ্টেম্বর,২০১৬ থেকে। সেটা এখনো চলছে।আমি নিজে ভেবেছিলাম যে এটা দীপাবলির মধ্যে শেষ করবো।অর্থাৎ অক্টোবরের শেষ দিকে, এই পরিকল্টাপনাটা যে কোনও ভাবেই শেষ করা সম্ভব হয়নি সেটা এই ব্লগের পাঠকদের অজানা নয়।বরং বড়দিনে শেষ করার পরিকল্পনাতেও আমি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছি।শেষ বেতাল যেন এক দুঃস্বপ্নের মতো আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে,আর সেই দুঃস্বপ্নের সমাপ্তি এখনো ঘটেনি। এর যথেষ্ট কারনও ছিল, কারন শেষ বেতাল হচ্ছে চিত্রচোরের অনুদিত সর্ববৃহৎ অনুবাদ।এটা সম্পূর্ণ রূপে তিনশোর কিছু বেশি পাতার এক সম্পূর্ণ গ্রাফিক উপন্যাস।"দ্য লাস্ট ফ্যান্টমে তিন বছর ২০১০-২০১২ ধরে ১৩টি খন্ডে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়,ডায়নামাইট এন্টারটেনমেন্ট পাব্লিকেশান এর তরফ থেকে।সেটা এতোটা তাড়াতাড়ি একার পক্ষে অনুবাদ করাও কিন্ত খুব সহজ কাজ নয় বলেই মনে করি।সে যাই হোক,শুরু যখন করেছি তখন আমাকে শেষ তো করতেই হবে,আর সেটা শেষ করা আমার কর্তব্য

#১২ সংখ্যার বাংলা সংস্করণের প্রচ্ছদ
** প্রসঙ্গত একটা কথা জানিয়ে রাখা জরুরি যে আমার মনে হয় না,কোনও কমিকস ধারাবাহিকভাবে এতোটা দীর্ঘ চললে সবার সেইদিকে সমান মনোযোগ থাকে,বেশিরভাগ পাঠক সম্পূর্ণ গল্প চান (তার মধ্যে আমি নিজেকেও রাখি)। কে অপেক্ষা করবে ধারাবাহিকভাবে কমিকস পড়ার জন্য, যেখানে সমাপ্তি কবে হবে তার আগাম কোনও নিশ্চয়তা নেই।এর প্রভাব কমেন্টেও পড়তে বাধ্য,এটা আমার একটা ক্ষোভ বলতে পারেন,বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় কমেন্ট বক্স এ কমেন্ট এর সংখ্যা ২-৩ কি কখনোবা তাও নেই।এটা শুধু আমার ব্লগের ক্ষেত্রে বলছি না, এই বাংলায় যতগুলো ব্লগ আপনি দেখবেন,সব একই হাল,অথচ ডাউনলোডের হার কিন্ত বেড়ে চলে।অনেকে এটা বুঝতে পারেন না যে আপনাদের এই সামান্যতম বিনোদনের জন্য ব্লগারকে কতোটা পরিমান পরিশ্রম করতে হচ্ছে,তিনি করছেন কেন ? বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই অর্থের জন্য নয়,করছেন নিজের ভালোবাসার থেকে।হে সচেতন পাঠককুল একটু সজাগ হোন।অধিকাংশ পাঠকদের কখনো কি এটা মনে হয়না যে কি চলছে কেমন চলছে তা ব্লগারকে জানানো দরকার,উনি কি ভুল করছেন বা ঠিক করছেন সেটা পাঠকদের মুখ থেকেই যদি না জানতে পারেন,তবে তিনি সঠিকটা করবেন কি করে? হ্যাঁ অনেকের মনে হতে পারে অনেক জ্ঞান দিয়ে ফেলেছি,আবার অনেকে হয়তো মনে করতে পারেন ভিক্ষা চাইছে।হা হা যদি সেটা মনে হয় তবেও আমার কিছু করার নেই। যাইহোক আজ অনেক হল জ্ঞান দান। এবার কাজের কথা শুরু করি...



তার আগে দেখে নেই এই সংখ্যার দুটি অতিরিক্ত ভ্যরিয়েন্ট কভারঃ-


স্টিফেন শ্যাডোস্কীর করা # ১২ ইস্যুর প্রচ্ছদ
জোনাথন লাউয়ের করা #১২ ইস্যুর প্রচ্ছদ


আপনারা তো জানেন,তবুও আরেকবার মনে করিয়ে দিই, এই সিরিজে মোট ১২ টি ইস্যু আছে।আর আছে একটি বার্ষিক ইস্যু।প্রতিটি ইস্যু একেকটি অধ্যায়ে বিভক্ত করা আছে। গল্পটা এতোটা চমকপ্রদ ও রোমহর্ষক যে চিত্রচোরের প্রথা ভঙ্গ করে একেকটি কমিক্সের ধারাবাহিক পর্বে ভাগ না করে অখন্ড একেকটি ইস্যু শেয়ার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ আপনারা প্রতি পোস্টে একটা সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়েছেন।

আপনারা শেষ বেতালঃপ্রথম খন্ড "ভৌতিক পদভ্রমণ" পড়েছিলেন।যেটা ইস্যু ০১-০৬ পর্যন্ত সমাপ্ত
তারপর   শেষ বেতালঃ দ্বিতীয় খন্ড "অরণ্যের আইন" যেটা - ০৭-১২ তে সমাপ্ত।


আপনারা শেষ পড়েছিলেন একাদশ সংখ্যা আর আজ পড়বেন শেষ বেতালের দ্বাদশ সংখ্যা  
শুধু মাত্র চিত্রচোর ব্লগে-


বিদ্রঃ এটি একটি টিন কমিকস। অর্থাৎ,টিনেজারদের বা তার চেয়ে বেশী বয়সের পাঠকদের কথা মাথায় রেখে বানানো হয়েছে।এটি অ্যাডভেঞ্চার, ক্রাইম থ্রিলার গল্প।এতে কিছুক্ষেত্রে তীব্র নৃশংসতা দেখানো হয়েছে,ও কিছুক্ষেত্রে কিছু স্বল্পবসনা চরিত্রের ক্ষেত্রে অনেকের আপত্তি আসতে পারে ।তাই বাচ্চাদের অভিভাবকের উপস্থিতিতেই পড়ানো উচিত। আর অনুবাদ কেমন হচ্ছে জানাতে ভুলবেন না যেন।








এরপর বাকি শুধু শেষ বেতালের শেষ বার্ষিক সংখ্যা।সেটা কবে সমাপ্ত হবে জানা নেই,আর আগের থেকে নির্দিষ্টভাবে বলাও এখন সম্ভব হচ্ছে না।


আগামী পর্বে
 তার আগে আশা করছি প্রথা ভেঙ্গে আরেকটি পোষ্ট করা হবে।সেটিও বেশ বড়ো প্রজেক্ট।স্বপ্নের প্রজেক্ট বলতে পারেন। সেটার নাম হচ্ছে ইন্দ্রজালের প্রত্যাবর্তন।টাইমস অফ ইন্ডিয়া থেকে প্রকাশিত ভারতের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও সর্বাধিক বিক্রিত থেকে যে ইন্দ্রজাল কমিকস সেটা নিয়ে।ইন্দ্রজাল কমিকস শুরু হয় ১৯৬৪ সালের মার্চ মাসে,ইংরাজিতে শুরু হয় ফ্যান্টম দিয়েই ১৯৬৬ র জানুয়ারি থেকে প্রথম বাংলায় বেতালের আত্মপ্রকাশ।তাই ৬৪-৬৬ পর্যন্ত প্রকাশিত ২২ টি ইন্দ্রজালের কখনো বাংলায় অফিশিয়ালি প্রকাশিত হয়নি।আমাদের মূল প্রয়াস হবে এই ২২ টি সংখ্যাকে আবার বাংলায় ফিরিয়ে আনা।কিছু কাজ আগেই হয়েছে ফ্যান-ট্রান্সলেশান হিসাবে,আর যেগুলো বাকি আছে সেগুলি আমরা কয়েকজন ব্লগার ও ইন্দ্রজাল ফ্যান মিলে ঠিক করেছি বাকিগুলো আমরা শেষ করবো সবাই মিলে (যারা আমার ফেসবুক প্রোফাইল এ আছেন তারা অনেক হয়তো জানবেন)।

সেই নিয়েই আলোচনা থাকবে আগামী পোষ্টে। 



বাংলায় অনুবাদ ও প্রচ্ছদপট রূপায়নঃ রূপক ঘোষ।

প্রুফ রিডিংঃ মোঃ আশিকুর রহমান।