মঙ্গলবার, মে ৩১, ২০১৬

পোস্ট #০০৬ : গলেরা আছেন চিত্রচোরে... অ্যাসটেরিক্স ও পিক্ট দল #০৩

অ্যাসটেরিক্স এন্ড দ্য পিক্টস এর বাংলা সংস্করণ 

আগের সপ্তাহে আমরা আলোচনা করছিলাম গোসিনির অ্যাসটেরিক্সের অনুবাদের বিষয়ে। আজ আমরা তার পরবর্তী অ্যালবাম গুলির ওপরে আলোকপাত করবো। 1977 এ গোসিনির মৃত্যু হয়।সে সময় তারা অ্যাসটেরিক্স সিরিজের ২৪ তম অ্যালবাম "অ্যাসটেরিক্স ইন বেলজিয়াম" নিয়ে কাজ করছিলেন।এর কাজ অসমাপ্ত রেখেই গোসিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান।বন্ধু বিয়োগের দুঃখে আলবার্ট এই অ্যালবামটি অসমাপ্তই রাখতে চেয়েছিলেন।কিন্তু সম্পাদক আইনের গুঁতো মেরে তাকে দিকে একরকম শেষ করাতে বাধ্য করেন।বিষণ্ণ আলবার্ট সেইজন্য তার বন্ধুকে স্মরণ করে বাকি কমিক অ্যালবামটির আকাশ মেঘলা করে দেন।

গোসিনির মৃত্যুর পর পাঠকদের অনুরোধে ইউদেরজো নিজেই কাহিনীর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে শুরু করেন। কিন্তু কমিকটির প্রকাশনা কিছুটা অনিয়মিত হয়ে পড়ে। এই কাহিনীর বেশির ভাগ সমালোচক এবং ভক্তরা গোসিনির লেখাকেই পছন্দ করত। ইউদেরজো এসময় লে এডিশন Albert-René নামে নিজের একটি প্রকাশনা সংস্থা খোলেন। সেখান থেকে পরবর্তীতে ইউদেরজো নিজের লেখা এবং অঙ্কিত বইগুলি ছাপানো হয়। সম্পাদক বদলিয়ে ইউদেরজো নিজেই ১৯৭৯ তে লিখতে ও আঁকতে থাকেন "দ্য গ্রেট ডিভাইড" অ্যালবাম টি। এরপর এক এক করে আটটি কমিকস প্রকাশ করেন।

নিচে সেগুলির একটি তালিকা প্রদান করা হল-
ইয়ুদেরজোর করা কমিক অ্যালবামের তালিকা।

১৯৯০ সালে লেখকদ্বয়ের পরিবার স্বত্ব ফেরত পাবার জন্য দারগদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৯৮ সালে দীর্ঘস্থায়ী এক মামলার পর দারগদ কাহিনীগুলো প্রকাশ এবং বিক্রি করবার অধিকার হারিয়ে ফেলে। ইউদেরজো পরবর্তীতে আলবার্ট-রেন এর পরিবর্তে হ্যাচেটের কাছে স্বত্ব বিক্রয় করে দিলেও নতুন কাহিনী প্রকাশনার স্বত্ব আলবেয়ার ইউদেরজো (৪০%), সিলভিয়া ইউদেরজো (২০%) এবং অ্যান গোসিনি (৪০%) কাছেই রয়ে যায়।
যদিও ইউদেরজো প্রথমে ঘোষণা দিয়েছিলেন তাঁর মৃত্যুর পরে এর আর কোন নতুন কাহিনী লেখা হবে না, যে ধরনের অনুরোধ হার্জ করে যান তার বিখ্যাত টিনটিনের অভিযান সম্পর্কে, কিন্তু ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে হ্যাচেটের কাছে তার অংশ বিক্রয় (যারা তার কম্পানি অধিগ্রহণের মাধ্যমে কমিক্সের স্বত্বের মালিকানা লাভ করেছে) করার পর তার মনোভাবের পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে দু’পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয় ।
গোসিনি ও ইউদেরজো  ও কনর‍্যাড ও ফের্‌রী।
লে মণ্ডের কাছে লেখা এক চিঠির মাধ্যমে ইউদেরজো নিজের মেয়ে সিলভিয়া তার বাবার পারিবারিক প্রকাশনা কেন্দ্র বিক্রয় এবং তার মৃত্যুর পরেও অ্যাস্টেরিক্সের কাহিনী বের করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়েছেন। তিনি লিখছেন, “...অ্যাস্টেরিক্সের সহলেখক, গল যোদ্ধাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে আজ যোগ দিয়েছে রোমানদের সাথে- যারা শুধু কলকারখানা আর পয়সা বোঝে।” অ্যানে গোসিনি অবশ্য তার স্বত্ব একই সময়ে বিক্রয় এবং নতুন প্রকাশনা চালিয়ে যাবার অনুমতি দেন। কয়েকমাসের মধ্যেই ইউদেরজো নতুন কাহিনী রচনার কাজে তিনজন অঙ্কনশিল্পী, যারা তার সাথে অনেক দিন ধরে কাজ করেছিল তাদেরকে নিয়োগ করেন।

 এই নতুন অভিযানে নতুন টিমের হাতে ইউদেরজো দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন ও তিনি অবসর নিয়েছেন। এই নতুন অ্যালবামে গল্প লিখেছেন ইভ্যেস ফের্‌রী ও ছবি এঁকেছেন দিদিয়ার কনর‍্যাড২০১৩ সালে প্রকাশিত হয় তাদের লেখা এই প্রথম গল্প "অ্যাসটেরিক্স এন্ড দ্য পিক্টস" । এরপরে আরও একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয় সেটা এখনো পর্যন্ত প্রকাশিত সর্বশেষ অ্যাসটেরিক্স কমিকস। অ্যাসটেরিক্স এন্ড দ্য মিসিং স্ক্রোল।এটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।এটি সর্বাধিক বিক্রীত অ্যাসটেরিক্স কমিকস ও বটে। এটির সব ভাষা মিলিয়ে সর্বমোট ৪ মিলিয়নের বেশী কপি মুদ্রন হয়েছে।

আসুন দেখে নেই নতুন লেখক দ্বয়ের তালিকা -
নতুন জুটির করা কমিক অ্যালবামের তালিকা।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলীঃ-

নামঃ- অ্যাসটেরিক্স এন্ড দ্য পিক্টস্‌
লেখকঃ-ইভ্যেস ফের্‌রী
চিত্রশিল্পীঃ-দিদিয়ার কনর‍্যাড
প্রকাশকঃ-অরিওন বুকস্‌
প্রকাশকালঃ-২০১৩
টাইপঃ-কমিক অ্যালব্যাম



* সমস্ত তথ্যসূত্র উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত।  


 আজ পড়ুন অ্যাসটেরিক্স ও পিক্ট দল এর সম্পূর্ণ পর্ব শুধু মাত্র চিত্রচোর ব্লগে। আগের দুটি পর্ব মিলিয়ে এই পর্বে পূর্ণাঙ্গ কমিক অ্যালবামটি একত্রে নিচের লিঙ্কে,এটি ডাউনলোড করলে আপনার আগের দুটি পর্ব না ডাউনলোড না করলেও চলবে।আপনাদের সুবিধার জন্য হাই কোয়ালিটি ও মোবাইল সংস্করণ।  

বিদ্রঃ এই কমিক্স অ্যালবামটি সব বয়সের পাঠকদের পড়ার উপযোগী।তাই নির্দ্বিধায় পড়ুন ও পড়ান। আর অনুবাদ কেমন হচ্ছে জানাতে ভুলবেন না যেন।

 ডাউনলােড করুন(হাই কোয়ালিটি)

ডাউনলোড করুন (মোবাইল সংস্করণ)



বাংলায় অনুবাদ ও প্রচ্ছদপট রূপায়নঃ রূপক ঘোষ।




মঙ্গলবার, মে ২৪, ২০১৬

পোস্ট #০০৫ : গলেরা আছেন চিত্রচোরে... অ্যাসটেরিক্স ও পিক্ট দল #০২

ফ্রাঙ্কো-বেলজিয়াম কমিকসের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে হার্জের টিনটিন।তবে টিনটিনের পরেই জনপ্রিয়তার দিক থেকে দেখতে গেলে অ্যাসটেরিক্সের নাম সবচেয়ে বেশি সমাদৃত। আমাদের বাঙ্গালী পাঠকদের কাছে টিনটিনের তুলনায় অ্যাসটেরিক্স অনেকটাই পিছিয়ে আছে। এর প্রধান কারন অনুবাদের অভাব। টিনটিনের সবকটি অ্যালবামের বাংলা অনুবাদ হয়েছে বাংলাতে এবং প্রকাশিত হয়েছে আনন্দ পাবলিশার্সের তরফ থেকে,একমাত্র হার্জের অসমাপ্ত টিনটিন অ্যান্ড দ্য আলফ আর্ট যেটা সুদীপ দা (সুদিপ দেব) বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন টিনটিন ও বর্ণশিল্প রহস্য নামে ,এছাড়াও তিনি টিনটিনের বাকি ভালো কয়েকটি ফ্যান ট্রিবিউট কমিকস ও অনুবাদ করেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে টিনটিন অনুবাদ একদম সম্পূর্ণ। সেই রকম অ্যাসটেরিক্স কে নিয়ে ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত মাত্র ১২ টি বই আনন্দ থেকে অফিশিয়ালি প্রকাশিত হয়েছে। শেষ প্রকাশিত বইয়ের নাম "অলিম্পিকের আসরে"। এছাড়া ফ্যান ট্রান্সলেশান ও হয়েছে বেশ কয়েকটি। সেগুলোর বেশিরভাগই ইয়ুদেরজোর লেখা গল্প গুলো নিয়ে বানানো। এগুলির একটা করেছিলেন মৈনাক দা ও পাঁচটা করেছে সাওন দত্ত। কিন্তু এদের আগে দুটি কমিকস অনুবাদ করেছিলেন দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য, তিনি অলিম্পিকের আসরে অ্যালবামটি আনন্দের প্রকাশের আগে শেষ করেছিলেন,এছাড়াও অ্যাসটেরিক্স ও খোকা অনুবাদ করেন। সাওন আরও অনুবাদ করছে। আমি সেই জন্য এই করুন পরিণতির কথা ভেবে নতুন লেখক দ্বয়ের নতুন গল্প অ্যাসটেরিক্স অ্যান্ড পিক্টস অনুবাদ শুরু করি।এরপরে মিসিং স্ক্রোলটারও কাজ চলছে। এবার চলুন দেখে নেই অ্যাসটেরিক্স এর প্রকাশিত গল্প গুলোর তালিকায়।




আগামী সপ্তাহে আমরা ইয়ুদেরজোর গল্পগুলো ও নতুন লেখক দ্বয়ের গল্পগুলো নিয়ে আবার আলোচনা করবো। গত সপ্তাহে আপনারা পড়েছিলেন অ্যাসটেরিক্স ও পিক্ট দল প্রথম পর্ব আজ সেই কাহিনীর দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির চিত্রচোর।

** প্রথম ছবিটি অ্যাসটেরিক্স এন্ড দ্য পিক্টস এর ইংরাজি ও বাংলা সংস্করণ এর ছবি।

 আজ পড়ুন অ্যাসটেরিক্স ও পিক্ট দল এর দ্বিতীয় পর্ব শুধু মাত্র চিত্রচোর ব্লগে-



বিদ্রঃ এই কমিক্স অ্যালবামটি সব বয়সের পাঠকদের পড়ার উপযোগী।তাই নির্দ্বিধায় পড়ুন ও পড়ান। আর অনুবাদ কেমন হচ্ছে জানাতে ভুলবেন না যেন।


ডাউনলোড করুন

আগামী সপ্তাহে অ্যাসটেরিক্স ও পিক্ট দল এর সম্পূর্ণ পর্ব পড়তে চোখ রাখুন শুধুমাত্র চিত্রচোর ব্লগে...





বাংলায় অনুবাদ ও প্রচ্ছদপট রূপায়নঃ রূপক ঘোষ।




মঙ্গলবার, মে ১৭, ২০১৬

পোস্ট #০০৪ : গলেরা এলেন চিত্রচোরে... অ্যাসটেরিক্স ও পিক্ট দল #০১


আমাদের সঙ্গে অ্যাসটেরিক্সের কথা হয়েছিলো গত সপ্তাহ দুয়েক আগে...অ্যাসটেরিক্স জানিয়েছিল তখনি আসবে আর চিত্রচোর থেকে ঘুরে যাবে। যাইহোক পরে ওদের পাঠানো পায়রার মাধ্যমে চিঠি পাই,তাতে অ্যাসটেরিক্স জানায় যে আচমকা রোমান আক্রমন ও এটাসেটামিক্সের শারীরিক অসুস্থতার কারনে ওনারা এখন আসতে পারছেন না,সপ্তাহ দুয়েক বাদে আসবেন। সেইমতো যে অ্যাসটেরিক্স ও ওবেলিক্স কথা রেখেছে, তাই তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।এখন কয়েক সপ্তাহ ওনারা আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।

সে যাহোক এবার জেনে নেওয়া যাক অ্যাসটেরিক্সের গল্পের পেছনের কিছু ইতিহাস...



ইউদেরজো প্রথম যখন রেখাচিত্র অঙ্কন করেন তখন গল যোদ্ধাদের বৈশিষ্ট্য মোতাবেক অ্যাস্টেরিক্সকে বিশাল আকৃতির একজন শক্তিশালী যোদ্ধা হিসেবে চিত্রিত করেন। কিন্তু গোসিনির চিন্তাধারা ছিল অন্যরকম। তিনি অ্যাস্টেরিক্সকে একজন ক্ষুদ্রাকৃতির বুদ্ধিমান যোদ্ধা হিসেবে কল্পনা করেছিলেন, যে শক্তির চাইতে বুদ্ধিমত্তাকে বেশি ব্যবহার করবে। তথাপি, ইউদেরজো মনে করেছিলেন এরকম ক্ষুদ্রাকৃতির নায়কের প্রয়োজন একজন অনুজ্জ্বল কিন্তু শক্তিশালী সহচর। ধারনাটি গোসিনির কাছেও ভালো লেগেছিল। আর তাই জন্ম নিলো ওবেলিক্স।যদিও এসময় অ্যাস্টেরিক্সের জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছিল, কিন্তু অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে পিলটের প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। এসময় পিলটকে জর্জ দারগো কিনে নেয়।
 


গোসিনির মৃত্যুর পর পাঠকদের অনুরোধে ইউদেরজো নিজেই কাহিনীর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে শুরু করেন। কিন্তু কমিকটির প্রকাশনা কিছুটা অনিয়মিত হয়ে পড়ে। এই কাহিনীর বেশির ভাগ সমালোচক এবং ভক্তরা গোসিনির লেখাকেই পছন্দ করত। ইউদেরজো এসময় লে এডিশন Albert-René নামে নিজের একটি প্রকাশনা সংস্থা খোলেন। সেখান থেকে পরবর্তীতে ইউদেরজো নিজের লেখা এবং অঙ্কিত বইগুলি ছাপানো হয়। যদিও,দারগো, সর্বপ্রথম কাহিনীগুলোর প্রকাশক, তারা
প্রথম ২৪টি কাহিনী যার লেখক ইউদেরজো এবং গোসিনি দু’জনেই, সেগুলো প্রকাশের স্বত্ব রেখে দিয়েছিল। ১৯৯০ সালে লেখকদ্বয়ের পরিবার স্বত্ব ফেরত পাবার জন্য দারগদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৯৮ সালে দীর্ঘস্থায়ী এক মামলার পর দারগদ কাহিনীগুলো প্রকাশ এবং বিক্রি করবার অধিকার হারিয়ে ফেলে। ইউদেরজো পরবর্তীতে আলবার্ট-রেন এর পরিবর্তে হ্যাচেটের কাছে স্বত্ব বিক্রয় করে দিলেও নতুন কাহিনী প্রকাশনার স্বত্ব আলবেয়ার ইউদেরজো (৪০%), সিলভিয়া ইউদেরজো (২০%) এবং অ্যান গোসিনি (৪০%) কাছেই রয়ে যায়।
যদিও ইউদেরজো প্রথমে ঘোষণা দিয়েছিলেন তাঁর মৃত্যুর পরে এর আর কোন নতুন কাহিনী লেখা হবে না, যে ধরনের অনুরোধ হার্জ করে যান তার বিখ্যাত টিনটিনের অভিযান সম্পর্কে, কিন্তু ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে হ্যাচেটের কাছে তার অংশ বিক্রয় (যারা তার কম্পানি অধিগ্রহণের মাধ্যমে কমিক্সের স্বত্বের মালিকানা লাভ করেছে) করার পর তার মনোভাবের পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে দু’পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয় ।
লে মণ্ডের কাছে লেখা এক চিঠির মাধ্যমে ইউদেরজো নিজের মেয়ে সিলভিয়া তার বাবার পারিবারিক প্রকাশনা কেন্দ্র বিক্রয় এবং তার মৃত্যুর পরেও অ্যাস্টেরিক্সের কাহিনী বের করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়েছেন। তিনি লিখছেন, “...অ্যাস্টেরিক্সের সহলেখক, গল যোদ্ধাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে আজ যোগ দিয়েছে রোমানদের সাথে- যারা শুধু কলকারখানা আর পয়সা বোঝে।” অ্যানে গোসিনি অবশ্য তার স্বত্ব একই সময়ে বিক্রয় এবং নতুন প্রকাশনা চালিয়ে যাবার অনুমতি দেন। কয়েকমাসের মধ্যেই ইউদেরজো নতুন কাহিনী রচনার কাজে তিনজন অঙ্কনশিল্পী, যারা তার সাথে অনেক দিন ধরে কাজ করেছিল তাদেরকে নিয়োগ দেন।


আজ আমরা যে গল্পটা পড়তে চলেছি সেটাই সর্বপ্রথম প্রকাশিত গল্প যাতে আসল স্রষ্টারা কাজ করেন নি। এই নতুন অভিযানে নতুন টিমের হাতে ইউদেরজো দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন ও তিনি অবসর নিয়েছেন। এই নতুন অ্যালবামে গল্প লিখেছেন ইভ্যেস ফের্‌রী ও ছবি এঁকেছেন দিদিয়ার কনর‍্যাড২০১৩ সালে প্রকাশিত হয় তাদের লেখা এই প্রথম গল্প "অ্যাসটেরিক্স এন্ড দ্য পিক্টস" ।আজ আমরা পরবো সেই "অ্যাসটেরিক্স এন্ড দ্য পিক্টস" এর অনুবাদ "অ্যাসটেরিক্স ও পিক্ট দল"।


* সমস্ত তথ্যসূত্র উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। 
** প্রথম ও দ্বিতীয় ছবিটি অ্যাসটেরিক্স এন্ড দ্য পিক্টস এর ইংরাজি ও বাংলা সংস্করণ এর ছবি।
তৃতীয় ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে বাদিক থেকে প্রথম দুজন গোসিনি ও ইউদেরজো অ্যাসটেরিক্স ও ওবেলিক্স এর স্রষ্টা ও শেষ দুজন বর্তমান চিত্রশিল্পী ও লেখক যথাক্রমে কনর‍্যাড ও ফের্‌রী।

শেষ ছবিতে কনর‍্যাড ও ফের্‌রী তাদের প্রথম অ্যালবাম অ্যাসটেরিক্স এন্ড দ্য পিক্টস হাতে নিয়ে ছবি তুলেছেন।

আজ পড়ুন অ্যাসটেরিক্স ও পিক্ট দল এর প্রথম পর্ব শুধু মাত্র চিত্রচোর ব্লগে-



বিদ্রঃ এই কমিক্স অ্যালবামটি সব বয়সের পাঠকদের পড়ার উপযোগী।তাই নির্দ্বিধায় পড়ুন ও পড়ান। আর অনুবাদ কেমন হচ্ছে জানাতে ভুলবেন না যেন।


ডাউনলোড করুন

আগামী সপ্তাহে অ্যাসটেরিক্স ও পিক্ট দল এর দ্বিতীয় পর্ব পড়তে চোখ রাখুন শুধুমাত্র চিত্রচোর ব্লগে...

 




বাংলায় অনুবাদ ও প্রচ্ছদপট রূপায়নঃ রূপক ঘোষ।



রবিবার, মে ০১, ২০১৬

পোস্ট #০০৩ : খুনে কৌতুক - অন্তিম পর্ব


ব্যাটম্যান : দ্য কিলিং জোক গ্রাফিক নভেলটির বাংলা অনুবাদ খুনে কৌতুক, আপনারা পড়ছিলেন গত দুই পর্ব ধরে। আজকে এই নভেলের তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলো চিত্রচোর। এই পর্বেই শেষ হয়ে যাচ্ছে খুনে কৌতুক। আগামী সপ্তাহে আমরা ফিরব এক নতুন গল্প নিয়ে। অনুবাদ কেমন হচ্ছে জানাতে ভুলবেন না যেন।

গত ২৫শে এপ্রিল, মানে আমাদের গত পোস্টের ২ দিন পরে ছিল জোকারের ৫০তম জন্মদিন ছিল। ১৯৪০ সালের ২৫শে এপ্রিল জোকার কমিক্সে প্রথম পদার্পণ করে। সেই জন্য আজকের পোস্টে এই সমগ্র গ্রাফিক নভেলটি তাকেই উৎসর্গ করা হলো।

ব্যাটম্যান : দ্য কিলিং জোক গ্রাফিক নভেলটি নিয়ে আগের দুটি পর্বে অনেক গল্প করেছি। আজকের আসরে একটু এর অ্যানিমেটেড অ্যাডাপ্টেশন নিয়ে গল্প করা যাক।

ব্যাটম্যান : দ্য অ্যানিমেটেড সিরিজে ব্যাটম্যানের কণ্ঠ প্রদান করেছিলেন কেভিন কনরয়, আর জোকারের কণ্ঠ প্রদান করেছিলেন স্টার ওয়ার্স-এর লুক স্কাইওয়াকার ওরফে বিখ্যাত মার্ক হেমিল। ওনাদের, বিশেষ করে হেমিলের কণ্ঠস্বরে জোকার এক অন্য মাত্রা পেয়েছিল। ব্যাটম্যান : দ্য অ্যানিমেটেড সিরিজ ১৯৯২ থেকে শুরু হয়েছিল, চলে ১৯৯৫ পর্যন্ত। সেই সময় ডিসি অ্যানিমেটেড ইউনিভার্স সিরিজের আরও কয়েকটি সিরিজে ও পরেও এই সিরিজেরই কয়েকটি অ্যানিমেটেড মুভিতে এবং বেশ কিছু ভিডিও গেমে তিনি জোকারের কণ্ঠ প্রদান করেন। তিনি আর্কহাম অ্যাসাইলাম ও তার সিকুয়াল আর্কহাম সিটিতে শেষ জোকার হয়েছিলেন। হেমিল অ্যানি অ্যাওয়ার্ডস-এর ইন্টার‌্যাক্টিভ অ্যাচিভমেন্ট ক্যাটাগরিতে আর স্পাইক ভিডিও গেম অ্যাওয়ার্ডস-এ জোকারের ভূমিকায় কণ্ঠ প্রদানের জন্য ২বার মনোনীত হন, এবং বেস্ট পারফর্মার হিসেবে জিতেছেন ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি ভিডিও অ্যাওয়ার্ড।

২০১১ এর কমিক-কনে হেমিল জানিয়েছিলেন যদি কিলিং জোকের কোনো অ্যানিমেটেড অ্যাডাপ্টেশন করা হয় তবে তিনি সানন্দে আবার জোকারের ভূমিকায় ফিরবেন। ২০১৫তে হেমিল টুইট করেন যে, কিলিং জোকের কোনো অ্যানিমেটেড অ্যাডাপ্টেশন তাকে কাস্ট করা হবে, এবং জুলাই ২৭-এ কোলাইডার কনফার্ম করে যে, কিলিং জোকে মার্ক থাকছেন। কেভিন কনরয় এবং টারা স্ট্রং যথাক্রমে ব্যাটম্যানব্যাটগার্লের ভূমিকায় ফিরছেন। এটিই ডিসির প্রথম অ্যানিমেটেড অ্যাডাপ্টেশন হতে চলেছে যা R রেটেড হবে [আমাদের সেন্সর বোর্ড অনুযায়ী (A)]। এটি ডিভিডিতে মুক্তি পাবে সম্ভবত এই জুনে। আসুন দেখে নেই এর ট্রেলার :


১। প্রথম ছবিটি ব্যাটম্যান : দ্য কিলিং জোক অ্যানিমেটেড মুভির পোস্টার
২। দ্বিতীয় ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে বাঁ দিক থেকে মার্ক হেমিলকেভিন কনরয় জুটিকে কিলিং জোকের সেটে।

বি. দ্র. : এটি একটি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। এটা পুরোপুরি পরিণত মস্তিষ্কের পাঠকের জন্য আদর্শ। এতে এমন কিছু উপাদান আছে যা বাচ্চাদের জন্য ঠিক নয়। এর বিশেষ কিছু উপাদান ও অর্ধনগ্ন দৃশ্য এবং গল্পটির সাইকোলজি বাচ্চাদের (বড়দের তো অবশ্যই) মনে গভীরভাবে রেখাপাত করতে বাধ্য। তাই ১৮ বছরের কম বয়স্ক পাঠকদের এটি পড়া অনুচিত

খুনে কৌতুক সম্পূর্ণ হওয়ার ফলে এটির তৃতীয় পর্বটি আলাদা করে না দিয়ে তিনটি পর্ব একত্রিত করে সম্পূর্ণ খুনে কৌতুক আপনাদের সামনে পেশ করা হলো। এটি ডাউনলোড করলে আপনার আগের দুটি পর্ব ডাউনলোড না করলেও চলবে।



আগামী সপ্তাহে অদম্য গলেরা আসছেন! হ্যাঁ, আগামী সপ্তাহে আসছে অ্যাসটেরিক্স আর ওবেলিক্স, শুধুমাত্র চিত্রচোর ব্লগে...

বাংলায় অনুবাদ ও প্রচ্ছদপট রূপায়ন : রূপক ঘোষ